আকাঈদ

কিয়ামতের দিন সম্পর্কে আকীদা – দ্বিতীয় খন্ড

(১) ফেরেশতা, মানুষ, জ্বীন, জীবজন্তু এবং অন্যান্য সমস্ত প্রাণীকূলের সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে।[1] (২) সবকিছু মারা যাওয়ার পর, একটি সময় অতিবাহিত হবে যার পরে আল্লাহ তাআ’লা হযরত ইস্রাফিল (আলাইহিস সালাম) কে জীবিত করবেন এবং তাকে দ্বিতীয়বার সূর ফুঁকতে নির্দেশ দেবেন। সুরের দুই ফুঁকের মধ্যবর্তী সময় হবে চল্লিশ বছর।[2] (৩) …

Read More »

কিয়ামতের দিন সম্পর্কে আকীদা – প্রথম খন্ড

(১) শুক্রবার কিয়ামত সংঘটিত হবে। এটাই হবে পৃথিবীর শেষ দিন। আল্লাহ তাআ’লা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করে দেবেন। আল্লাহ তাআ’লা  ব্যতীত, মহাবিশ্ব কখন শেষ হবে তার সঠিক তারিখ কেউ জানে না।[1] (২) আল্লাহ তাআ’লা হযরত ইস্রাফিল (আলাইহিস সালাম)-কে শিং-এর মতো আকৃতির সূর (শিঙ্গা) ফুঁকতে নির্দেশ দেবেন। শিঙ্গার আওয়াজ শুরুতে মৃদু হবে, …

Read More »

তাকদীর (ভাগ্য) সম্পর্কে আকীদা

(১) তাকদীর বলতে আল্লাহ তাআ’লার নিশ্চিত এবং পূর্ণ জ্ঞানকে বোঝায়। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআ’লা প্রত্যেক বস্তু এবং প্রত্যেক ঘটনা সম্পর্কে, তা ভালো হোক বা খারাপ হোক বা অতীত হোক, বর্তমান হোক বা ভবিষ্যত হোক, তার সংঘটিত হওয়ার আগে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখেন।[1] (২) আল্লাহ তাআ’লা মানুষকে ভালো কাজ বা খারাপ কাজ করার …

Read More »

পবিত্র গ্রন্থসমূহ সম্পর্কে আকীদা – দ্বিতীয় খন্ড

(১) কুরআন মাজিদ সর্বশেষ পবিত্র গ্রন্থ এবং হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। কুরআন মাজিদ নাযিল হওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য সকল আসমানী কিতাব রহিত হয়ে গেছে।[1] (২) আল্লাহ তাআ’লা কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন মাজিদকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই কুরআন মাজিদে কোনো পরিবর্তন বা বিকৃতি করা সম্ভব …

Read More »

পবিত্র গ্রন্থসমূহ সম্পর্কে আকীদা – প্রথম খন্ড

(১) আল্লাহ তাআ’লা বিভিন্ন আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম)-এর উপর তাদের লোকদের হেদায়েতের জন্য অনেক আসমানী কিতাব এবং সহীফা নাযিল করেছেন। কুরআন মাজিদ এবং মুবারক আহাদিসে এই সমস্ত আসমানী কিতাব এবং সহীফা হতে কিছু আসমানী কিতাব এবং সহীফা সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়েছে, আবার অন্য আসমানী কিতাব এবং সহীফা সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি।[1] …

Read More »

ফেরেশতাদের সম্পর্কে আকীদা – চতুর্থ খন্ড

(১) প্রত্যেক মুসলমানের সাথে একজন ফেরেশতা এবং শয়তান থাকে। ফেরেশতা তাকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করে এবং শয়তান তাকে মন্দ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে।[1] (২) কুরআন মাজিদ ও মুবারক হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ফেরেশতাদের বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।[2] (৩) কিছু ফেরেশতা জান্নাতের দায়িত্বে …

Read More »

ফেরেশতাদের সম্পর্কে আকীদা – তৃতীয় খন্ড

(১) প্রত্যেক মুসলমানের সাথে একজন ফেরেশতা এবং শয়তান থাকে। ফেরেশতা তাকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করে এবং শয়তান তাকে মন্দ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে।[1] (২) কুরআন মাজিদ ও মুবারক হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ফেরেশতাদের বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।[2] (৩) কিছু ফেরেশতা জান্নাতের দায়িত্বে …

Read More »

ফেরেশতাদের সম্পর্কে আকীদা – দ্বিতীয় খন্ড

(১) হযরত মিকাঈল (আলাইহিস সালাম) খাবার এবং বৃষ্টির দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। অন্যান্য ফেরেশতারা তার অধীনে কাজ করে এবং মেঘ, সমুদ্র, নদী এবং বাতাস নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তিনি আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ পান এবং তারপরে তার আদেশে থাকা অন্যান্য ফেরেশতাদের কাছে আদেশগুলি পৌঁছে দেন।[1] (২) হযরত ইজরাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে আল্লাহ …

Read More »

ফেরেশতাদের সম্পর্কে আকীদা – প্রথম খন্ড

(১) ফেরেশতারা আল্লাহ তাআ’লার একটি নিষ্পাপ সৃষ্টি এবং তাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। ফেরেশতারা আমাদের কাছে অদৃশ্য, এবং তারা পুরুষ বা মহিলা নয়। তারা সকল মানবিক চাহিদা যেমন খাওয়া, পান করা, ঘুমানো ইত্যাদি থেকে মুক্ত।[1] (২) আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার জন্য দিয়েছেন। আল্লাহ তাদেরকে যে কাজ করার …

Read More »

আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম) সম্পর্কে আকীদা – দ্বিতীয় খন্ড

(১) আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম)-দের মোট সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তাআ’লা জানেন। আমরা আল্লাহ তাআ’লার সকল নবীকে বিশ্বাস করি, তাদের সংখ্যা যাই হোক না কেন।[1] (২) নবীর নবুওয়াতের চিহ্ন হিসাবে, আল্লাহ তাআ’লা নবীকে কিছু মু’জিযা (অলৌকিক ঘটনা) সম্পাদন করার অনুমতি দেন। কিন্তু, এটা বোঝা উচিত যে নবী একজন মানুষ, এবং তিনি নিজের …

Read More »