পবিত্র গ্রন্থসমূহ সম্পর্কে আকীদা – দ্বিতীয় খন্ড

(১) কুরআন মাজিদ সর্বশেষ পবিত্র গ্রন্থ এবং হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। কুরআন মাজিদ নাযিল হওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য সকল আসমানী কিতাব রহিত হয়ে গেছে।[1]

(২) আল্লাহ তাআ’লা কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন মাজিদকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই কুরআন মাজিদে কোনো পরিবর্তন বা বিকৃতি করা সম্ভব নয়। অন্যান্য আসমানী কিতাবের সুরক্ষার দায়িত্ব, আল্লাহ তাআ’লা মানুষের উপর অর্পণ করেছিলেন। এতেকরে, তাদের বইয়ে প্রবেশ করেছে প্রক্ষেপণ এবং বিকৃতি।[2]

(৩) কুরআন মাজিদ ২৩ বছর সময়কালে অবতীর্ণ হয়। কুরআন মাজিদের বিভিন্ন অংশ থেকে বিভিন্ন আয়াত বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ তাআ’লা হযরত জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম) কে দেখাতে যে কোন আয়াতটি কোন সূরার অংশ এবং কোন ক্রমানুসারে তাদের বিন্যাস করা উচিত।[3]


[1] ثم الكتب قد نسخت بالقران تلاوتها وكتابتها وبعض أحكامها (شرح العقائد النسفية صــ 168)

[2] إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ (سورة الحجر: 9)

[3] (وقرآنا فرقناه) أما قراءة من قرأ بالتخفيف فمعناه فصلناه من اللوح المحفوظ إلى بيت العزة من السماء الدنيا ثم نزل مفرقا منجما على الوقائع إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في ثلاث وعشرين سنة قاله عكرمة عن ابن عباس (تفسير ابن كثير 5/127)

قال أبو بكر الأنباري رحمه الله: أنزل الله القرآن كله إلى سماء الدنيا ثم فرقه في بضع وعشرين فكانت السورة تنزل لامر يحدث والآية جواب المستجيز ويوقف جبريل عليه السلام النبي صلى الله عليه وسلم على موضع الآية والسورة فاتساق السورة كاتساق الآيات والحروف كلها عن النبي صلى الله عليه وسلم فمن قدم سورة أو أخرها فقد أفسد نظم القرآن (الكوكب الفريد في فن علم التجويد 1/137)

Check Also

পবিত্র গ্রন্থসমূহ সম্পর্কে আকীদা – প্রথম খন্ড

(১) আল্লাহ তাআ’লা বিভিন্ন আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম)-এর উপর তাদের লোকদের হেদায়েতের জন্য অনেক আসমানী কিতাব …