عن حسين بن علي بن أبي طالب رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: البخيل الذي من ذكرت عنده فلم يصل علي (سنن الترمذي، الرقم: 3546)[1]
হযরত হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন, “প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হয়, তবুও সে আমার ওপর দুরুদ পাঠ করে না।”
ইসালে-সাওয়াব হিসাবে দুরুদ পাঠ করা
একবার এক মহিলা হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) এর কাছে এসে বললেন, “হে ইমাম, আমার মেয়ে মারা গেছে এবং আমি তাকে স্বপ্নে দেখতে চাই। (তাকে দেখার জন্য আমার কি কোন উপায় আছে?)
হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) তাকে বললেন, “এশার নামাজ শেষ করার পর চার রাকাত নফল নামায পড়ো। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা তাকাসুর পাঠ করো। অতঃপর শুয়ে পড়লে ঘুম আসা পর্যন্ত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর উপর দুরুদ পাঠ করতে থাকো।
মহিলাটি তাকে যেমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তেমনই করে এবং সেই রাতেই সে তার মেয়েকে স্বপ্নে দেখে। সে পাপের কারণে মেয়েকে আযাব ভোগ করতে দেখে। সে আলকাতরায় ঢাকা ছিল, তার হাত বাঁধা ছিল এবং তার পা আগুনের জ্বলন্ত শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। মেয়ের এই অবস্থা দেখে মহিলাটি খুবই মর্মাহত ও দুঃখিত হলেন। পরের দিন সকালে যখন তিনি ঘুম থেকে উঠলেন, তখন তিনি দ্রুত হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) এর কাছে গেলেন এবং অত্যন্ত মর্মাহত অবস্থায় তিনি যা দেখেছিলেন তা তাঁকে বললেন। তিনি তাকে বললেন, “তার পক্ষ হতে সাদকা দাও। হয়তো আল্লাহ তাআ’লা তোমার সাদকার উসিলায় তাকে মাফ করে দেবেন।”
পরদিন হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) মেয়েটিকে স্বপ্নে দেখলেন। তিনি তাকে একটি সুন্দর বাগানে দেখেন যে সে নিজের মাথায় সম্মানের মুকুটের সহিত সিংহাসনে বসেছিলো। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কে?” সে বললো, “হে হাসান বসরী, আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না?” তিনি নেতিবাচক জবাব দেন। তখন সে বলল, “আমি সেই মহিলার মেয়ে যে আপনার সাথে কথা বলেছে।” হাসান বসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) উত্তর দিলেন, “এটা কেমন করে হলো যে আমি তোমাকে আরাম ও স্বস্তিতে দেখছি, অথচ তোমার মা আমাকে তোমার করুণ অবস্থার কথা বলেছেন?”
মেয়েটি উত্তর দিল, “আমার মা আপনাকে যা বলেছিল সবই সত্য। নিঃসন্দেহে তা আমার আগের অবস্থা ছিলো এবং আমার মতো সত্তর হাজার মানুষও একই আযাব ভোগ করছিলো। যাইহোক, একজন সাধু ব্যক্তির দুরুদের কারণে আমাদের সবাইকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিয়েছেন। সাধু ব্যক্তিটি আমাদের কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একবার রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর উপর দুরুদ পাঠ করলেন এবং কবরবাসীদের কাছে দুরুদের সওয়াব পৌঁছে দিলেন। সেই দুরুদ আল্লাহর কাছে এতই প্রিয় ও প্রশংসিত ছিল যে তিনি আমাদের সবাইকে কবরের আযাব ও শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছেন। সেই সাধু ব্যক্তির দুরুদের কল্যানেই আপনি আমাকে এই অবস্থায় দেখছেন।”[2]
يَا رَبِّ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا عَلَى حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِمِ
[1] وقال هذا حديث حسن صحيح غريب
[2] الدر المنضود صـ 185، القول البديع صـ 281