عن عبد الرحمن بن عوف رضي الله عنه قال: خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فاتبعته حتى دخل نخلا فسجد فأطال السجود حتى خفت أو خشيت أن يكون الله قد توفاه أو قبضه قال: فجئت أنظر فرفع رأسه فقال: ما لك يا عبد الرحمن قال: فذكرت ذلك له فقال: إن جبريل عليه السلام قال: لي ألا أبشرك إن الله عز وجل يقول لك: من صلى عليك صليت عليه ومن سلم عليك سلمت عليه (مسند أحمد، الرقم: 1662)[1]
হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বৰ্ণণা করেন: একদা রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) তাঁর ঘর ছেড়ে বের হোন এবং আমি তাঁর পিঁছু নেই, যতক্ষন পর্যন্ত না তিনি একটি খেঁজুর বাগানে প্রবেশ করেন এবং সেজদায় পড়ে যান। রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এতই লম্বা সময় ধরে সেজদা করলেন যে আমি ভয় পেয়ে যাই যে, আল্লাহ তাআ’লা তাঁর রূহ কবজ করে নিয়ছেন। তাই আমি রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর কি হয়েছে দেখার জন্য এগিয়ে যাই। তখন তিনি সেজদা থেকে তাঁর মোবারক মাথা উঠালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন ঘটনা কি, যার উত্তরে আমি তাঁর কাছে (তাঁর সেজদায় মারা যাওয়ার) ভয় এবং চিন্তার কথা উল্লেখ করি। রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) উত্তর দিলেন, “(আমার এতো লম্বা সেজদার কারন) হযরত জিবরাইল (আলাইহিস্ সালাম) আমার নিকট আসেন এবং বলেন, ‘আমার কি আপনাকে সু-খবর দেওয়া উচিত নয় যে আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আপনার উপর দুরুদ পাঠ করে, আমি তার উপর আমার রহমত প্রেরণ করি, এবং যে ব্যক্তি আপনার উপর সলাম পাঠ করে, আমি তার উপর শান্তি এবং বরকত প্রেরণ করি।’’’
প্রচুর পরিমানে দুরুদ পাঠ করার মাধ্যমে শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া
একদা এক ব্যক্তি স্বপ্নে এক ব্যক্তিকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং ত্রাসজনক আকৃতিতে দেখেন। ঐ ব্যক্তিকে সে কে ছিলো জিজ্ঞাসা করা হলে সে উত্তর দেয়, “আমি তোমার বদ আমল।”সে আবার জিজ্ঞাসা করে, “আমি তোমার কাছ থেকে কাভাবে রক্ষা পাবো?” সে উত্তর দেয়, “মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর উপর অনবরত দুরুদ পাঠ করার মাধ্যমে।”[2]
يَا رَبِّ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا عَلَى حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِمِ
[1] وقال البيهقي في الخلافيات 3/143 (عن طريق لهذه الرواية بنحو هذه الألفاظ): قال أبو عبد الله رحمه الله: هذا حديث صحيح
[2] الدر المنضود صـ 183، القول البديع صـ 260