عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: أولى الناس بي يوم القيامة أكثرهم علي صلاة (سنن الترمذي، الرقم: 484)[1]
হযরত আবু উমামাহ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন, “প্রতি শুক্রবার আমার ওপর প্রচুর পরিমাণে দুরুদ পাঠ করো, কেননা প্রতি শুক্রবার আমার উম্মতের দুরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। যে ব্যক্তি আমার উপর সবচেয়ে বেশি দুরুদ পাঠ করবে সে (কিয়ামতের দিন) আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে।”
সাহাবাদের (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম) সব কিছুতে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)–এর মুবারক সুন্নাহ অনুকরণ করা
একবার এক ব্যক্তি হযরত ইবনু উমর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুমা) কে বললেন, “আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে শান্তির সময়ে এবং ভয়ের সময়ে নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সফরের সময় নামাযের কথা উল্লেখ করেননি।”
হযরত ইবনু উমর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুমা) উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাতিজা! আল্লাহ তাআ’লা মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) আমাদের কাছে তাঁর রাসুল হিসেবে সে-সময়ে পাঠিয়েছেন যখন আমরা অজ্ঞ ছিলাম এবং কিছুই জানতাম না। তিনি যা করেছেন আমাদের উচিত তাকে অনুসরণ করা।”[2]
দ্রষ্টব্য: হযরত শায়খ মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া কান্ধেলভী (রহতুল্লাহি আলাইহ) উল্লেখ করেছেন, “এটি ইশারা করে যে প্রতিটি হুকুম সুস্পষ্টভাবে কুরআন মজিদে পাওয়া আবশ্যক নয়। হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর জীবন ও তাঁর কর্ম আমাদের অনুসরণের পথপ্রদর্শক। মাজিদ এবং অন্যান্য আদেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সময় থেকে সাবধান হও যা খুব শীঘ্রই আসছে যখন চিন্তাহীন লোকেরা তাদের পালঙ্কে বসে বলবে হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন, “আমাকে কুরআন, ‘শুধু কুরআন মজিদের সাথে লেগে থাকো। শুধুমাত্র এতে থাকা আদেশগুলি পালন করো।’”[3]
[1] وحسنه الإمام الترمذي رحمه الله
[2] صحيح ابن حبان، الرقم: 2735
[3] فضائل اعمال صـ 106