যুল হাজ্জ্ মাসের সুন্নত এবং আদব

যুল হাজ্জ্

যুল হাজ্জ্ মাস ইসলামিক পঞ্জিকাবর্ষের চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে একটি। চারটি পবিত্র মাস হচ্ছে যুল ক্বদ, যুল হাজ্জ্, মুহররম এবং রজব। এই মাসগুলোয় করা নেক কাজের সওয়াব কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়, এবং এই মাসে করা গুনাহকে আরো বেশি গুরুতর হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ্ তাআ’লা ফরমানঃ

اِنَّ عِدَّۃَ الشُّہُوۡرِ عِنۡدَ اللّٰہِ اثۡنَا عَشَرَ شَہۡرًا فِیۡ  کِتٰبِ اللّٰہِ یَوۡمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ مِنۡہَاۤ  اَرۡبَعَۃٌ  حُرُمٌؕ

আল্লাহ্ তাআলার নিকট মাসের সংখ্যা (বছরে) বারো, তাঁর দ্বারা ধার্যকৃত যেদিন তিনি আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন; তাদের মধ্যে চারটি পবিত্র।

যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিন এবং দশ রাতের মহত্ত্ব এখান থেকে অনুমান করা যায় যে, আল্লাহ তাআ’লা কুরআন মাজিদে যুল হাজ্জ্ মাসের দশ রাতের উপর কসম খেয়েছেন, এবং এই দিন গুলোর ব্যাপারে খাস ফজিলত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আহাদিসে বর্ণিত আছে। আল্লাহ তাআ’লা ফরমান:

وَالۡفَجۡرِ ۙ﴿۱﴾ وَلَیَالٍ عَشۡرٍ ۙ﴿۲﴾

সুবহে সাদিকের কসম এবং (যুল হাজ্জ্ মাসের) দশ রাত্রির কসম।

যুল হাজ্জ্ মাসের সুন্নত এবং আদব

(১) যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদত করায় নিজেকে পরিশ্রান্ত করা। এই দশ দিনে করা ইবাদতের ব্যাপারে বিরাট সওয়াবের কথা উল্লেখ রয়েছে।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুমা)বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, “যুল হাজ্জ্ মাসের এই প্রথম দশ দিনে করা নেক কাজের চাইতে বেশি ফজিলত পূর্ণ এমন কোন নেক কাজ নেই, যা বছরের অন্য যেকোন দিন করা হয়।” সাহাবা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম) জিজ্ঞাসা করলেন, “এবংকি জিহাদও নয়?” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, “এবংকি জিহাদও নয়, একমাত্র ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে (জিহাদে) নিজের জান এবং মাল বিপন্ন করে এবং কোনকিছুর সহিত ফিরে আসে না (অর্থাৎ, যে মুজাহিদ জিহাদে শহিদ হয় তার জিহাদ ব্যতীত, যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিনে করা জিহাদ বছরের বাকি সময়ে করা জিহাদের চেয়ে বেশি ফজিলত পূর্ণ)

(২) প্রথম দশ দিন রোজা রাখার চেষ্টা করা। যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিনের যে কোন দিন (দশম দিন ব্যতীত) রোজা রাখার মাধ্যমে, বান্দা এক বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ করবে।

(৩) যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ রাতে যতবেশি সম্ভব ইবাদত করার চেষ্টা করা। এই রাতগুলোয় ইবাদত করার মাধ্যমে বান্দা কদরের রাতে ইবাদত করার সওয়াব লাভ করে।

হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, বছরে এমন কোন দিন নেই যেখানে আল্লাহর ইবাদত তাঁর নিকট যুল হাজ্জ্ মাসের দশ দিনের চাইতে বেশি প্রিয়। এই দিনগুলোতে রোজা রাখা (দশম দিন ব্যতীত) পুরো একবছর রোজা রাখার সমান, এবং এই রাতগুলোয় ইবাদতে দাঁড়ানো কদরের রাতের সওয়ার সমান।”

হযরত হাফসা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চারটি আমল ছেড়ে দিতেন না; আশুরার দিন রোজা রাখা, যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিন রোজা রাখা (অর্থাৎ, দশম দিন ব্যতীত), প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখা এবং ফজরের ফরজ নামাজের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া।

(৪) নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, যে ব্যক্তি পাঁচ রাত্রিতে আল্লাহর ইবাদত করে তার উপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অর্থাৎ, তারবিয়ার রাত (আষ্টম যুল হাজ্জ্), আরাফাতের রাত (নবম যুল হাজ্জ্), নাহারের রাত (দশম যুল হাজ্জ্), ঈদুল ফিতরের রাত এবং পনেরো-ই শাবানের রাত।

হযরত মুআয বিন জাবাল (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, “যে ব্যক্তি বছরের পাঁচ রাত্রি ইবাদতের মাধ্যমে জীবন্ত রাখে, তার উপর জান্নাত বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। (এই পাঁচ রাত্রি হচ্ছে) তারবিয়ার রাত (আষ্টম যুল হাজ্জ্), আরাফাতের রাত (নবম যুল হাজ্জ্), নাহারের রাত (দশম যুল হাজ্জ্), ঈদুল ফিতরের রাত এবং পনেরো-ই শাবানের রাত।”

(৫) যে ব্যক্তি ইহরামের হালতে না থাকে তার জন্য আরাফাতের দিন অর্থাৎ, নবম যুল হাজ্জ্ রোজা রাখা মুস্তাহাব। এক বছরের রোজার সওয়াব লাভ করা ছাড়াও, দুই বছরের গুনাহও মাফ করে দেওয়া হবে।

হযরত আবু কাতাদাহ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, একজন সাহাবি একদিন রসুলুল্লাহ  (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করেন, “হে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোজা রাখে তার সওয়াব কি?” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, “এতে সম্পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার সওয়াব রয়েছে ।” তারপর সাহাবি জিজ্ঞাসা করেন, “আরাফাতের দিন রোজা রাখার সওয়াব কি?” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, “তা বর্তমান বছরের এবং পূর্ববর্তী বছরের সগিরা গুনাহ মাফ করে।”

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন, “আমি রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে হজ্জ করেছি এবং তিনি (হজ এর সময়) আরাফাতের দিন রোজা রাখেন নি। এবং আমি হযরত আবু বকর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) এর সাথে হজ্জ করেছি এবং তিনি (হজ এর সময়) আরাফাতের দিন রোজা রাখেন নি। এবং আমি হযরত উমর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) এর সাথে হজ্জ করেছি এবং তিনিও (হজ এর সময়) আরাফাতের দিন রোজা রাখেন নি তারপর আমি হযরত উসমান (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) এর সাথে হজ্জ করেছি এবং তিনি একইভাবে (হজ এর সময়) আরাফাতের দিন রোজা রাখেন নি।”

(৬) আরাফাতের দিন নিম্নোক্ত দোয়া প্রচুর পরিমাণে পড়া:

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

এক আল্লাহ্ তাআলা ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি অদ্বিতীয়, যার কোন শরিক নেই, (পুরো জাহানের) রাজ্য তাঁর অন্তর্গত, সমস্ত প্ৰসংশা শুধুই তাঁর জন্য, তার হাতেই (নিয়ন্ত্রণে) সকল খায়ের এবং শুধুমাত্র তাঁর কাছেই রয়েছে সমস্ত কিছুর উপর পুরোপুরি ক্ষমতা।

(৭) আরাফাতের দিন, বান্দা যেন দোয়ায় মশগুল থাকে। এটি একটি বরকতময় দিন, এবংকি যুল হাজ্জ্ মাসের অন্য দশ দিন থেকেও বেশি বরকতময়। এটি বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) ফরমান, এই দিন আল্লাহ্ তাআ’লা অন্য দিনের চাইতে বেশি মানুষ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেন। হযরত আলী (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) আরাফাতের দিন নিম্নোক্ত দোয়াও করতেন এবং তাঁর কিছু সাথিদের একই দোয়া করার উৎসাহ দিতেন:

اَللّٰهُمَّ أَعْتِقْ رَقَبَتِيْ مِنَ النَّارِ وَأَوْسِعْ لِيْ مِنَ الرِّزْقِ الْحَلالِ وَاصْرِفْ عَنِّيْ فَسَقَةَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ

হে আল্লাহ্! আমার গর্দান জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করুন, আমাকে প্রচুর পরিমাণে হালাল রিজিক দান করুন, এবং আমার থেকে সীমালঙ্ঘনকারী জ্বিন এবং ইনসানের খারাবি দূর করুন।

(৮) হাজি যখন নবম দিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (উকুফ) করবে সে যেন নিম্নোক্ত দোয়া একশত বার পাঠ করে:

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

এক আল্লাহ্ তাআলা ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি অদ্বিতীয়, যার কোন শরিক নেই, (পুরো জাহানের) রাজ্য তাঁর অন্তর্গত, সমস্ত প্ৰসংশা শুধুই তাঁর জন্য এবং শুধুমাত্র তাঁর কাছেই রয়েছে সমস্ত কিছুর উপর পুরোপুরি ক্ষমতা।

তারপর সে যেন একশতবার সুরা ইখলাস (ক্বুল হুআল্লাহ), এবং তারপর নিম্নোক্ত দুরুদ একশতবার পাঠ করে:

اَللَٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ وَعَلَيْنَا مَعَهُمْ

হে আল্লাহ! হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর আপনার খাস রহমত বর্ষন করুন, যেভাবে আপনি নবী ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) এবং নবী ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) এর পরিবারের উপর আপনার খাস রহমত বর্ষন করেছেন, অবশ্যই আপনি সমস্ত প্ৰসংশার দাবিদার, সর্ব মহিমান্বিত, এবং তাদের সাথে সাথে আমাদের উপর (আপনার খাস রহমত বর্ষন করুন)

হযরত জাবির (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, যখন কোন মুসলমান আরাফাতের দিন বিকালে কিবলামুখি হয়ে উকুফের যায়গায় দাঁড়ায় এবং উপরে লিখিত আযকার পাঠ করে, তখন আল্লাহ্ তাআলা বলেন:

হে আমার ফেরেশতারা! ইহা পাঠ করার কারণে আমার বান্দার সওয়াব কি হবে? সে আমাকে মহিমান্বিত করেছে, আমার একত্ব স্বীকার করেছে, আমার বড়ত্ব বয়ান করেছে, আমাকে সম্মান করেছে, আমাকে চিনেছে, আমার প্রশংসা করেছে এবং আমার নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর সালাম পাঠিয়েছে। তোমরা সাক্ষী থাকো, হে আমার ফেরেশতারা, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তাকে সুপারিশ করার মর্যাদা দিয়েছি, আর সে যদি এখানে যারা দাঁড়িয়ে আছে তাদের সবার জন্য সুপারিশ করতো, আমি তার সুপারিশ কবুল করতাম।”

(৯) যারা কুরবানির নিয়ত করছে তাদের জন্য যুল হজ্জ্ মাসের শুরু থেকে কুরবানি পশু জবাই হওয়া পর্যন্ত তাদের নখ না কাটা এবং তাদের চুল ছাটাই না করা মুস্তাহাব।

হযরত উম্মে সালামাহ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে, হযরত নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, “ঐ ব্যক্তি যে কুরবানির নিয়ত করছে সে যেন (যুল হাজ্জ্ মাসের) চাঁদ উদিত হওয়ার সময় থেকে শুরু করে নিজের কুরবানি শেষ করা পর্যন্ত তার চুল ছাটাই করা এবং নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।”

(১০) পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই যাতে ৯ই যুল হজ্জের ফজর থেকে ১৩ই যুল হজ্জের আসর পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পাঠ করে। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষরা তা উচ্চস্বরে পাঠ করবে, আর মহিলারা নিঁচুস্বরে পাঠ করবে। তাকবিরে তাশরিক নিম্নরূপ:

اَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ اَللهُ أَكْبَرْ اَللهُ أَكْبَرْ وَلِلّٰهِ الْحَمْدْ

আল্লাহ্ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ! আল্লাহ্ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ! আল্লাহ্ তাআলা ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই। আল্লাহ্ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ! আল্লাহ্ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ! এবং সমস্ত প্ৰসংশা শুধুই তাঁর জন্য।

হযরত আলী (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) হতে এটি বর্ণিত আছে যে, তিনি আরাফাতের দিন (৯ই যুল হজ্জ্) ফজরের নামাজ থেকে তাশরিকের শেষ দিন (১৩ই যুল হজ্জ্) আসর পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পাঠ করতেন।

(১১) এই দিন গুলোতে নিম্নোক্ত আযকারের পাঠ বৃদ্ধি করা:

سُبْحَانَ اللهِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ اَللهُ أَكْبَرْ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, “বছরে আর কোন দিন নেই যেখানে আল্লাহ তাআলার ইবাদত তাঁর নিকট যুল হাজ্জ্ মাসের প্রথম দশ দিনের চাইতে বৃহত্তর (সওয়াবের বেলায়) এবং বেশি পছন্দনীয়। এজন্য, তাসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ এবং তাকবির পাঠ বৃদ্ধি করো।” অর্থাৎ;

سُبْحَانَ اللهِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ اَللهُ أَكْبَرْ

(১২) যদি কারো উপর কুরবানি ওয়াজিব হয় তবে সে যেন কুরবানি দেয়।

হযরত আয়েশা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা) বৰ্ণণা করেন যে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ফরমান, “কুরবানির দিনে আল্লাহ তাআলা নিকট রক্ত ঝরানোর (কুরবানির পশুর) চাইতে অধিক পছন্দনীয় এবং দামি কোন আমল নেই যা একজন বান্দা করে। কুরবানিকৃত পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, লোম এবং ক্ষুর নিয়ে হাজির হবে (ওজনের জন্য)রক্ত মাটিতে পৌঁছানোর আগেই কুরবানি আল্লাহর নিকট কবুল হয়। এজন্য খুশি খুশি কুরবানি করো অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলার হুকুম পালন করার জন্য পরিতুষ্ট এবং আনন্দিত অন্তরের সাথে।

Check Also

পুরুষের নামাজ – সপ্তম খন্ড

রুকু এবং কওমা (১) সূরা ফাতিহা এবং কিরাত পড়া শেষ হলে পুনরায় তাকবীর পড়া এবং …