قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ﴿١﴾ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ ﴿٢﴾ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ ﴿٣﴾ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ ﴿٤﴾ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ ﴿٥﴾ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ ﴿٦﴾
১. বলুন, “হে কাফেররা,
২. আমি তার উপাসনা করি না যার উপাসনা তোমরা করো (অর্থাৎ মূর্তি),
৩. আর তোমরাও তার উপাসনা করো না যার উপাসনা আমি করি (অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা)।
৪. আর আমিও তার উপাসনা করব না যার উপাসনা তোমরা করো (অর্থাৎ মূর্তি),
৫. আর তোমরাও তার উপাসনা করবে না যার উপাসনা আমি করি (অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা)।
৬. তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম এবং আমার জন্য আমার ধর্ম।”
সূরা কাফিরুনের ফজিলত
সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাস এই দুটি সূরার অত্যন্ত তাৎপর্য এবং ফজিলত রয়েছে। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ফজর ও মাগরিবের সুন্নতে এই দুটি সূরা পাঠ করতেন।[1] সূরা কাফিরুন এবং সূরা ইখলাস এই দুটি সূরার অত্যন্ত তাৎপর্য এবং ফজিলত রয়েছে। নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ফজর ও মাগরিবের সুন্নতে এই দুটি সূরা পাঠ করতেন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে সূরা কাফিরুন পাঠ করা উচিত, কারণ এটি শিরক ও কুফর থেকে বিচ্ছিন্নতার ঘোষণা।[2]
একবার নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) কে একটি বিচ্ছু দংশন করেছিল। এরপর তিনি সূরা কাফিরুন, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করেন এবং সেই সাথে তিনি দংশনের স্থানে লবণ পানি ঢেলে দেন। এই সূরাগুলোর বরকতের মাধ্যমে তিনি শিফা লাভ করেন।[3]
[1] سنن الترمذي، الرقم: ٤٣١، وقال: حديث ابن مسعود حديث غريب
[2] سنن أبي داود، الرقم: ٥٠٥٥، صحيح ابن حبان، الرقم: ٥٥٢٦
[3] المعجم الصغير للطبراني، الرقم: ٨٣٠، وقال العلامة الهيثمي رحمه الله في مجمع الزوائد، الرقم: ٨٤٤٥: إسناده حسن