عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال: إذا أراد أحدكم أن يسأل فليبدأ بالمدحة والثناء على الله بما هو أهله ثم ليصل على النبي صلى الله عليه وسلم ثم ليسأل بعد فإنه أجدر أن ينجح (المعجم الكبير للطبراني، الرقم: 8780)[1]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) উল্লেখ করেন, “যখন তোমাদের কেউ আল্লাহর নিকট দুআ করতে চায়, তখন সে যেন আল্লাহর মহিমা এবং সম্মানের উপযোগী প্রশংসা ও গুণগান করার মাধ্যমে তার দুআ শুরু করে। অতঃপর সে নবী যেন (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর উপর দুরুদ (সালাম) পাঠ করে এবং তার পরে দুআ করে, কারণ (দুআ করার এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে) তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
প্রচুর দুরুদ লেখার মাধ্যমে উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছানো
হযরত জাফর ইবনে আব্দুল্লাহ (রহমতুল্লাহি আলাইহ) বর্ণনা করেন:
একবার আমি (হাদিসের বিখ্যাত পন্ডিত) ইমাম আবু যুরাহ (রহমতুল্লাহি আলাইহ) কে স্বপ্নে দেখি। আমি তাঁকে জান্নাতে ফেরেশতাদের নামাজে ইমামতি করতে দেখেছি।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “হে আবু যুরাহ, আপনি কিভাবে এই উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছেছেন?” তিনি উত্তর দিলেন, “আমার এই হাত দিয়ে আমি দশ লক্ষ হাদীস লিখেছি এবং যখনই আমি রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বরকতময় নাম লিখেছি, আমি সালাত এবং সালামও লিখেছি এবং রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআ’লা তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন।’”
এই হিসাব অনুযায়ী, এর অর্থ এই হবে যে (তাঁর দশ লক্ষ বার দুরুদ লিখার মাধ্যমে) তাঁর উপর আল্লাহ তাআ’লার বর্ষিত রহমতের পরিমাণ এক কোটি বার হবে। ভালো ভাবেই ধারণা করা যায় যে, যখন আল্লাহ তাআ’লার পক্ষ থেকে একটি মাত্র রহমত পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে মূল্যবান, তখন সেই ব্যক্তি কতইনা ভাগ্যবান হবে যার ওপর আল্লাহ তাআ’লার এক কোটি রহমত বর্ষিত হয়![2]
يَا رَبِّ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا عَلَى حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِمِ
[1] ورجاله رجال الصحيح إلا أن أبا عبيدة لم يسمع من أبيه كما في مجمع الزوائد، الرقم: 17255
[2] الدر المنضود صـ 257، القول البديع صـ 489