পুরুষের নামাজ – প্রথম খন্ড

একজন মুসলমানের জীবনে নামাজের যে উচ্চ অবস্থান রয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তিকে ইহা সম্পর্কে সর্বপ্রথম প্রশ্ন করা হবে এটাই তার গুরুত্বের যথেষ্ট প্রমাণ।

হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন:

إن أول ما يحاسب الناس به يوم القيامة من أعمالهم الصلاة قال: يقول ربنا جل وعز لملائكته وهو أعلم: انظروا في صلاة عبدي أتمها أم نقصها فإن كانت تامة كتبت له تامة وإن كان انتقص منها شيئا قال: انظروا هل لعبدي من تطوع فإن كان له تطوع قال: أتموا لعبدي فريضته من تطوعه ثم تؤخذ الأعمال على ذاكم (سنن أبي داود، الرقم: 864)[1]

প্রকৃতপক্ষে কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে কাজের জন্য মানুষের থেকে হিসাব নেওয়া হবে তা হবে তাদের নামাজ। আমাদের রব মালাইকা (ফেরেশতাদের) বলবেন, যখন আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন, “আমার বান্দার (ফরজ) নামাজের দিকে তাকাও; সে কি তা সম্পূর্ণ এবং নিখুঁতভাবে সম্পাদন করেছে নাকি সে এটি ঘাটতিপূর্ণভাবে করেছে? ” যদি তার নামাজ পরিপূর্ণ ও নিখুঁতভাবে আদায় করা হয় তবে তার জন্য সম্পূর্ণ সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে। তার নামাজে কিছু ঘাটতি থাকলে আল্লাহ তাআ’লা মালায়িকা (ফেরেশতাদের) বলবেন, “তার ফরজ নামাজের ঘাটতি তার নফল নামাজের মাধ্যমে পূরণ করো। অতঃপর অন্যান্য ইবাদাতও একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।”


[1] هذا الحديث سكت عنه أبو داود والمنذري (مختصر سنن أبي داود، 1/306)

Check Also

পুরুষের নামাজ – সপ্তম খন্ড

রুকু এবং কওমা (১) সূরা ফাতিহা এবং কিরাত পড়া শেষ হলে পুনরায় তাকবীর পড়া এবং …