عن أوس بن أوس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة فيه خلق آدم وفيه قبض وفيه النفخة وفيه الصعقة فأكثروا علي من الصلاة فيه فإن صلاتكم معروضة علي قال: قالوا: يا رسول الله وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت يقولون: بليت فقال: إن الله عز وجل حرم على الأرض أجساد الأنبياء (سنن أبي داود، الرقم: 1047)[1]
হযরত আওস বিন আওস (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমুআ’র দিন। শুক্রবারে আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, শুক্রবারে তিনি ইন্তেকাল করেছেন, শুক্রবারে শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে এবং শুক্রবার সৃষ্টিজগত অজ্ঞান হয়ে পড়বে, তাই জুমুআ’র দিনে আমার উপর প্রচুর দুরুদ পাঠ করো যেহেতু তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।” সাহাবা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম) জিজ্ঞেস করলেন, ‘ হে আল্লাহর রসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! আপনার কাছে আমাদের দুরুদ কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনার দেহ কবরে পচে যাবে?’ রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) উত্তর দিলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআ’লা আম্বিয়া (আলাইহিমুস সালাম)-এর মৃতদেহ ভক্ষণ করা থেকে পৃথিবীকে নিষেধ করেছেন।’
আল্লামা সাখাওয়ি (রহমতুল্লাহি আলাইহ) ‘কূত-উল-কুলূব’ থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, উপরোক্ত হাদীসে উল্লেখিত ‘প্রচুর দুরুদ’ বলতে প্রতিদিন অন্তত তিনশত বার দুরুদ পাঠ করাকে বোঝায়। হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গোহী (রহমতুল্লাহি আলাইহ) তাঁর অনুসারীদেরকে প্রতিদিন তিনশত বার নবীজী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর উপর দুরুদ পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন।[2]
হযরত জয়নুল আবেদিন, আলী বিন হুসাইন (রহমতুল্লাহি আলাইহ) একবার বলেছিলেন, “আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর উপর প্রচুর দুরুদ পাঠ করা।”[3]
হযরত আবু বকর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু)-এর ভালোবাসা হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া
হযরত আবু বকর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) একবার হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলেছিলেন, “যদিও আমি খুশি যে আমার পিতা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তবে আপনার চাচা আবু তালিবের ইসলাম গ্রহণে আমি যে আনন্দ অনুভব করতাম, তা অনেক বেশি হতো। কারণ হল, যদি আপনার চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করতো, তাহলে তা আপনার জন্য অনেক বেশি সুখ বয়ে আনতো।”[4]
يَا رَبِّ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا عَلَى حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِمِ
[1] وقال الحاكم في مستدركه، الرقم: 1029: هذا حديث صحيح على شرط البخاري ولم يخرجاه وأقره الذهبي
[2] فضائل درود صـ 27
[3] الترغيب والترهيب لقوام السنة 2/333، القول البديع صـ 132
[4] مسند البزار، الرقم: 6131