সাহাবায়ে কিরামের ঈমান হল সফলতার মাপকাঠি

কুরআন মাজিদে, আল্লাহ তাআ’লা সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-দের প্রশংসা করেছেন এবং তাদের ইমানকে হিদায়াত এবং সাফল্য অর্জনের জন্য উম্মতের অনুসরণের মাপকাঠি বানিয়েছেন।

আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ

সুতরাং যদি তারা (লোকেরা) ঈমান আনে যেমন আপনারা (হে সাহাবাগণ) ঈমান এনেছেন, তবে তারা অবশ্যই সঠিক পথে রয়েছে।[1]

রসলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর প্রতি হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর ভালোবাসা।

যে রাতে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) হিজরতের জন্য মদীনা মুনাওয়ারার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, কাফেররা তাঁকে হত্যা করার জন্য তাঁর ঘর ঘিরে ফেলে।

বিদায় নেওয়ার আগে, রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে তাঁর ঘরে রাত্রি যাপনের নির্দেশ দেন যাতে কাফেররা মনে করে যে, রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এখনও ভিতরেই আছেন এবং বুঝতে না পারেন যে তিনি চলে গিয়েছেন।

রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে জানিয়েছিলেন যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা করবেন।

এই সময়ে, তিনি যে মহা বিপদের সম্মুখীন হন, তা সত্ত্বেও, হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আন্তরিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন এবং রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর নির্দেশ পালন করেন।

এভাবে, হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর মুবারক জীবন রক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতেনঃ

وقيت بنفسي خير من وطئ الثرى ومن طاف بالبيت العتيق وبالحجر

رسول إلٰه خاف أن يمكروا به فنجاه ذو الطول الإلٰه من المكر

وبات رسول الله في الغار آمنا موقى وفي حفظ الإلٰه وفي ستر

وبتّ أراعيهم وما يتهمونني وقد وطنت نفسي على القتل والأسر

আমি আমার জীবন অর্পণ করেছি পৃথিবীর পৃষ্ঠে সর্বকালের সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং কাবা ঘর এবং হাজরে আসওয়াদের তাওয়াফকারী সর্বোত্তম ব্যক্তি জীবন রক্ষার জন্য।

(এটি আর কেউ নয়) আল্লাহর রসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ব্যতীত, যিনি তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর শত্রুদের চক্রান্তের আশঙ্কা করেছেন। তাই আল্লাহ, যিনি সকল অনুগ্রহের উৎস, তিনি তাকে তাদের মন্দ চক্রান্ত থেকে রক্ষা করেছেন

আল্লাহর রসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) গুহায় নিরাপদে রাত কাটিয়েছেন, আল্লাহ তাআলার খোদায়ী নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা উপভোগ করেছেন।

আমি রাত্রি কাফেরদের পর্যবেক্ষণে কাটিয়েছি যানে তারা আমাকে (রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এর ঘরে, তাঁর জায়গায় ঘুমানোর) আশা করেনি এবং আমি হয় মৃত্যু ভোগ করার জন্য অথবা বন্দী হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম।[2]


[1] سورة البقرة: 137

[2] شرح الزرقاني 2/96

Check Also

রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম) হযরত সা’দ (রাদ্বীয়াল্লাহু ‎আনহু)-এর প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া

حدّد سيدنا عمر رضي الله عنه قبل موته ستة من الصحابة الكرام رضي الله عنهم …