عن سمرة السوائي والد جابر رضي الله عنهما قال: كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم إذ جاءه رجل فقال: يا رسول الله ما أقرب الأعمال إلى الله قال: صدق الحديث وأداء الأمانة قلت: يا رسول الله زدنا قال: صلاة الليل وصوم الهواجر قلت: يا رسول الله زدنا قال: كثرة الذكر والصلاة علي تنفي الفقر قلت: يا رسول الله زدنا قال: من أم قوماً فليخفف فإن فيهم الكبير والعليل والصغير وذا الحاجة (معرفة الصحابة لأبي نعيم، الرقم: 3572)[1]
হযরত সামুরাহ বিন সুয়াই (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু), হযরত জাবির (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) এর পিতা বৰ্ণণা করেন যে: একদা আমরা রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর সোহবতে ছিলাম তখন এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর কাছে আসলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, “হে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! কোন কাজটি আল্লাহ্ তাআ’লার নিকট সবচাইতে আনন্দদায়ক?” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) উত্তর দিলেন, “সত্য বলা এবং ওয়াদা পূরণ করা।”আমি বললাম, “হে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! অনুগ্রহ করা আমাদেরকে আরো নচীহত করুন (ঐ কাজের ব্যাপারে যা তাআ’লার নিকট আনন্দদায়ক)!” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বললেন, “রাতের বেলায় নামাজ পড়া এবং গরমের দিনে রোজা রাখা।” আমি আবার বললাম, “হে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! অনুগ্রহ করা আমাদেরকে আরো নচীহত করুন!” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বললেন, “প্রচুর পরিমানে যিকরে মশগুল থাকা এবং আমার উপর দুরুদ পাঠানো দরিদ্রতা নির্মূল করে।” আমি আবারও বললাম, “হে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! অনুগ্রহ করা আমাদেরকে আরো নচীহত করুন!” রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বললেন, “যে ব্যক্তি নামাজের ইমামতি করে সে যেন সংক্ষিপ্ত নামাজ পড়ায়, কারন নামাজের জামায়আতে বৃদ্ধ, অসুস্থ, বাচ্চারা এবং ঐসব লোকেরা থাকে যাদের কোন না কোন জরুরত থাকে।”
চেহারা শুকরের চেহারায় পরিণত হওয়া
“নুযহাতুল মাজালিস”-এ, নিম্নোক্ত ঘটনা বর্ণিত রয়েছে যে:
এক ব্যক্তি এবং তার ছেলে একদা সফরে ছিলো। রাস্তায় পিতার মৃত্যু হয় এবং তার চেহারা শুকরের চেহারায় রুপান্তরিত হয়। তা দেখে ছেলে তীব্রভাবে কান্নাকাটি করে এবং তার পিতার কল্যাণের জন্য আল্লাহ তাআ’লার নিকট দোয়া করে।
ছেলে শিগ্রই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং দেখে যে এক ব্যক্তি তাকে বলছে, “তোমার পিতা সুদ খেতো, আর এ জন্যই তুমি তার চেহারার এই অবস্থা দেখতে পাচ্ছো। কিন্তু আনন্দিত হও, কারন রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) তার পক্ষে শাফাআ’ত করেছেন, এই জন্য যে যখনি সে রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর মুবারক নাম শুনেছে, সে তাঁর উপর দুরুদ পাঠ করেছে। রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর শাফাআ’তের মাধ্যমে তার চেহারা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।”[2]
يَا رَبِّ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا عَلَى حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِمِ
[1] سنده ضعيف كما في القول البديع صــ 278
[2] مفيد العلوم ومبيد الهموم صـ 184، نزهة المجالس 2/82