হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর প্রতি হযরত আনাস বিন ‎নাযর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু)-এর ভালোবাসা এবং উহুদে তাঁর শাহাদাত

আল্লাহ তাআলা সাহাবা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম)-দের জন্য জান্নাতের অঙ্গিকার করেন

আল্লাহ তাআ’লা উল্লেখ করেন:

أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ[1]

আল্লাহ তাআ’লা তাদের (সাহাবা রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম) জন্য বাগীচা তৈরি করেছেন যার নিচ দিয়ে নদী বয়ে যায়, যেখানে তাঁরা আজীবন বসবাস করবে। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর প্রতি হযরত আনাস বিন নাযর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু)-এর ভালোবাসা এবং উহুদে তাঁর শাহাদাত

উহুদে মুসলমানরা যখন পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছিল, তখন গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) নিহত হয়েছেন। এই সংবাদটি অনেক সাহাবায়ে কেরামকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলেছিল।

হযরত আনাস বিন নাযর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) হযরত উমর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত তালহা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) কে একদল সাহাবা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহুম)-এর সঙ্গে চরম শোক ও হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সবাইকে এত হতাশাগ্রস্ত এবং শোকাহত দেখছি কেন?”  তারা জবাব দিল, “রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)নিহত হয়েছেন।”

হযরত আনাস (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) চিৎকার করে বললেন, “তাহলে তাঁর পরে কে বাঁচতে চাইবে? এসো, আমরা আমাদের তলোয়ার নিয়ে এগিয়ে যাই এবং আমাদের প্রিয় রসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর সাথে যোগ দেই!” এই কথাগুলো উচ্চারণের সাথে সাথেই তিনি শত্রুর সারিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন।

হযরত রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)-এর প্রতি হযরত আনাস বিন নাযর (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু)-এর ভালোবাসা এতটাই ছিল যে, তিনি তাঁকে ছাড়া এ জীবনকে যোগ্য মনে করেননি।[2]


[1] ‎سورة التوبة: 89

[2] دلائل النبوة 3/245

Check Also

রসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসল্লাম) হযরত সা’দ (রাদ্বীয়াল্লাহু ‎আনহু)-এর প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া

حدّد سيدنا عمر رضي الله عنه قبل موته ستة من الصحابة الكرام رضي الله عنهم …